অত্র থানাধীন সুজাতপুর ইউ/পির খাগালিয়া (ইসলামপুর) সাকিনে গত ১২/০৩/২০২৩খ্রিঃ তারিখ পারিবারিক কলহের জের ধরিয়া পাষন্ড পিতা আব্দুল মন্নাফ(৬০) তাহার ২য় সংসারের ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম @ ঝন্টু (২৩), জাহিদুল ইসলাম (১৭) এবং ২য় স্ত্রী ছেনু আক্তার (৫০)দের সহতায়তায় রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় নিজ বসত ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ২য় সংসারের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (২০)কে ঘুম থেকে তুলিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কাঠের চেলী ও কাপড় কাটার কাঁচি দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া এবং কান কাটিয়া নির্মমভাবে হত্যা করে। শুধু হত্যা করে আসামীগণ ক্ষান্ত হয় নাই, তাহারা ভিকটিম জাহাঙ্গীর মিয়া (২০) এর লাশ বাড়ীর অদূরে ধান ক্ষেতের মধ্যে গোপন করিয়া রাখে। ০৩ দিন পর লাশ পঁচে দূর্গন্ধ বের হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ভিকটিম জাহাঙ্গীর মিয়া (২০) এর সৎ মা ছেনু আক্তার (৫০) কে গ্রেফতার করিলে সে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। উক্ত জবানবন্দির আলোকে খুনের ঘটনায় জড়িত আসামী পাষন্ড পিতা আব্দুল মন্নাফ (৬০), পিতা-মৃত আব্দুর রহিম, সৎ ভাই ২। মোঃ সাইদুল ইসলাম @ ঝন্টু (২৩) ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ৩। জাহিদুল ইসলাম (১৭), উভয় পিতা-আব্দুল মন্নাফ, সর্বসাং-ইকরাম (খাগালিয়া, ইসলামপুর), ২নং ওয়ার্ড, ১২নং সুজাতপুর ইউ/পি, থানা-বানিয়াচং, জেলা-হবিগঞ্জদেরকে ০৮/০৫/২০২৩খ্রিঃ তারিখ পলাশ রঞ্জন দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বানিয়াচং সার্কেল,হবিগঞ্জ এর দিক-নির্দেশনায় অজয় চন্দ্র দেব, অফিসার ইনচার্জ, বানিয়াচং থানা, হবিগঞ্জ এর নেতৃত্বে এসআই/মোঃ জসিম উদ্দিন ও এসআই/ মোঃ হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করিয়া শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন সুতাং (সুরাবই) এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীগণ উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। অতঃপর অদ্য ০৯/৫/২৩খ্রিঃ তারিখ আসামীদেরকে বিচারার্থে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply