মোঃ আল আমিনঃ চুনারুঘাট উপজেলার ৫নং শানখলা ইউনিয়নে ১৯২৮ সালে স্থাপিত হয় শানখলা সিনিয়র মাদ্রাসা।
ছোট একটি ঘড়ে ছাত্র/ছাত্রীদের বসার জায়গা না-হওয়ায় মাঠের মধ্যে পড়ানো হতো। ১৯৯০ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন মাওলানা মুফতি আব্দুল আউয়াল আসাদী, সেই সময় এসে ২৮ ফুট লম্বা দরজা জানালা বিহীন একটি বিল্ডিং পান। শানখলা সিনিয়র মাদ্রাসায় অত্র এলাকার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ছাত্র/ছাত্রীরা পড়ালেখা করতেন কিন্তু কষ্ট হতো ক্লাসরুমে পর্যাপ্ত জায়গা না-থাকার কারণে ছাত্রদের মাঠে বসিয়ে পড়ানো হতো বৃষ্টি হলে পড়ালেখার ব্যাঘাত ঘটাতো, রুদ্রের তাপে ক্লাস করতে ছাত্র/ছাত্রীদের কষ্ট হতো, সেটা দেখে অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আব্দুল আউয়াল আসাদী নিজের অর্থথেকে সাধ্যমতু এবং এলাকার বৃত্তশালী মানুষের আর্থিক অনুদান নিয়ে শুরু করেন মাদ্রাসার উন্নয়ন মূলক কাজ, প্রতি বছরের আর্থিক অর্থ দিয়ে আস্তে আস্তে ক্লাস রুম বাড়ানো শুরু করেন দক্ষিণ পাশে ১২০ ফুট বিল্ডিং এবং পশ্চিম পাশে ৩৫ ফুট লম্বা বিল্ডিং করেন।
এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাস করে মাদ্রাসার পূর্ব পাশে তিন তালা ফাউন্ডেশন বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু করেন ২০১৫/১৬ সালে একতালা কমপ্লিট হয়।
এক একর জায়গা নিয়ে মাদ্রাসাটিতে দুইটি টিনের বিল্ডিং এবং একটি তিনতালা ফাউন্ডেশনের বিল্ডিং রয়েছে, মোট ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা ৬০০ জন।
প্রধান শিক্ষক মাওলানা মুফতি আব্দুল আউয়াল আসাদী বলেন। অল্প পরিমান জায়গায় নির্মিত ২৮ ফুট বিল্ডিং থেকে এক একর জায়গা সহ একাধিক বিল্ডিংয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমাদের মাদ্রাসায় মোট শ্রেণী কক্ষ ১১ টি, অধ্যক্ষ রুম ১ টি, শিক্ষক মিলয়াতন রুম ১ টি, ছাত্রীদের কমনরুম ১ টি, শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী সহ মোট ১৯ জন কর্মরত আছে। ২০২২ সালে আমরা আলিমের অনুমতি পাই।
ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি ফিশ বেতন রেজিষ্ট্রেশন ফিশ বই ফি,গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের উপবৃত্তি দেওয়া হয়। আমাদের মাদ্রাসায় পাসের হার ৯২%। পশ্চিম পাশে চার তালা ভবনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করবো চারতালা ভবনের বাজেট পাস করা হয়েছে। তিরি আরো বলেন সকলের আর্থিক সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা মাদ্রাসাটি এতদূর এগিয়েছি আল্লাহ যেন সকলের দান ও পরিশ্রমকে কবুল করেন।
Leave a Reply