নবীগঞ্জে স্কুল থেকে আসার পথে বকাটেদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর কীটনাশক বিষ পানে আত্মহত্যা থানায় অভিযোগ ।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানাধীন ১৩নং পানিউমদা ইউ /পির অন্তর্গত বড়গাও পূর্বপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানে কন্যা রীয়া আক্তার (১৬) সে রাগিব রাবিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। স্হানীয় সুত্রে জানাযায় রীয়া আক্তার স্কুলে আসা যাওয়া করার সময় উত্যেক্ত করিত একঐ গ্রামের ইকরাম উদ্দিনের পুত্র (১) ছয়নুল মিয়া (২২) তোফাজ্জল মিয়ার পুত্র (২) তোফায়েল মিয়া (২২) উভয় থানা নবীগঞ্জ, সাং বড়গাও পুকে খাইরি -১৩নং পানি উমদা ইউ/পি, এরই মধ্যে আসামি ছয়নুল মিয়া রীয়া আক্তারকে স্কুলে যাওয়ার পথে তাহার বাড়ির পাশে ছেউড়িয়া নামক স্থানে রিয়ার হাত ধরে টানাটানি করিলে রিয়ার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিলে আসামি ছয়নুল মিয়া দৌড়াইয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে শালিস বিচারের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। আসামি ছয়নুল মিয়া আর কখনো কোন দিন রীয়াকে উত্যেক্ত করবে না বলে মৌখিক ভাবে অঙ্গিকার করে। উক্ত শালিসের দের মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে গত ১৩/১১/২২ ইং রীয়া স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পথে ২নং আসামি তোফায়েল মিয়ার সহায়তায় ১নং আসামি ছয়নুল মিয়া রীয়ার হাত ধরে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে রিয়ার শুর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিলে আসামি ছয়নুল ও তোফায়েল দৌড়ে পালিয়ে যায়। রীয়া বাড়িতে এসে এ বিষয়ে তার মা,বাবাকে জানালে তারা এ বিষয়টি আবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গকে ও তার গার্জেন কে জানালে তারা হাতে পায়ে ধরে বলে আর এরকম ঘটনা করবে না। একাধিক বার এরকম নির্যাতনের ঘটনার অপমান, জ্বালা সহ্য করতে না পেরে রীয়া আক্তার গত ২০/১১/২২ ইং দুপুর অনুমান ২.১০ ঘটিকায় তাদের ঘরে থাকা ক্ষেতে দেওয়ার জন্য রাখা কীটনাশক বিষ পানে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে রিয়ার মা নাছমা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
Leave a Reply