1. admin@dailyamarpranerhabiganj.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রতিপক্ষ জায়গা দখলের পায়তারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ আনসার সদস্য শফিক মিয়া। ঐতিহ্যবাহী জলসুখার ১৩ জমিদারের আড়াইশ বছরের পুরনো একটি জমিদার বাড়ি, বৈঠকখানা ও ঘেটু নাচ মন্দির অযত্ন-অবহেলায়, পূর্ণ সংস্কার হলে হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র। হবিগঞ্জের আব্দাবকাইয়ে ট্রাকের চাপায় ০১ বাইসাইকেল আরোহী নিহত। আজমিরীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৪ আসামীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর। সাংবাদিক ফয়সল মিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক শাহেনা আক্তার। সাংবাদিক মোঃ ফয়সল মিয়া সহ ৭ জনের উপর মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ০১টি চোরাইকৃত টমটম সহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার। সাংবাদিক দেওয়ান সজল আর নেই। প্রতি মাসের ন্যায় অভিন্ন মানদন্ডের ভিত্তিতে ২৫ তম পুরস্কার প্রাপ্তি মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার মাহবুবুল আলম। হবিগঞ্জের গোসাই পুরে বেঁজির কামড়ে ছাগল আহত।

শীতে কদর বেড়েছে মুখরোচক ভাপা পিঠার।

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০৭ বার পঠিত

 

মোঃ আল আমিন শায়েস্তাগঞ্জঃ

শীতে কদর বেড়েছে মুখরোচক ভাপা পিঠার,
আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের পিঠা গ্রামীণ ঐতিহ্য। শীত মানেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ। কুয়াশা মোড়ানো শীতের হিমেল হাওয়ায় ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠার স্বাদ না নিলে যেন তৃপ্তি মেটেনা অনেকের। শীত মৌসুমে গ্রামীণ বধূরা রকমারী পিঠা তৈরি করেন। শীতের পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা একটি অন্যতম পিঠা। ভাপা পিঠা আবার হরেক রকম পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। কখনো মিষ্টি ভাপা, কখনো ঝাল ভাপা। শীত এলেই যেন হরেক রকম সুস্বাদু পিঠার বাহারি আয়োজন।
শীত এলেই শহর ও গ্রামীণ হাটবাজারে নানা রকম পিঠা বিক্রি করা হয়। বিশেষ করে ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা ও চিতই পিঠা। শীত বাড়ার সাথে সাথে শহরের ফুটপাতে শীতের পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। চুলার অল্প আঁচের ধোঁয়া উড়ছে। গরম গরম ভাপা, চিতই নামছে। ক্রেতারা এসে সারিবদ্ধ হয়ে পিঠা কিনছেন।
হবিগঞ্জ জেলার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ও চুনারুঘাট উপজেলার, চুনারুঘাট বাজার,শাকির মোহাম্মদ, ডেওয়াতলী, শানখলা, বদরগাজী, বরমপুর বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট পিঠার দোকান সাজিয়ে বসছে নারী-পুরুষ বিক্রেতারা। অনেকেই এই শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রিকে বেছে নিয়েছেন মৌসুমী পেশা হিসেবে। বেচাকেনাও বেশ ভালোই চলছে। চলতি পথে থেমে বা অস্থায়ী দোকানের বেঞ্চে বসেই সন্ধ্যায় হালকা নাশ্তাটা সেরে নিচ্ছেন গরম গরম ভাপা পিঠা কিংবা চিতই (সাঝের পিঠা) পিঠা দিয়ে। কেউবা চিতই পিঠার সাথে নিচ্ছেন খেজুরের গুড়, কেউবা আক’য়ের গুড়, কেউবা ঝালযুক্ত সরিষা বাটা। প্রতিটি ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা এবং চিতই ৫ টাকায়। সাথে খেজুরের গুড় আক’য়ের গুড় সরিষা বাটা থাকছে ফ্রি।

বেশির ভাগ বিক্রেতাই ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন। তবে চিতইও কম চলছে না। কোথাও কোথাও থাকছে নারিকেল পিঠা। অনেক রেস্টুরেন্ট এখন বাহারী পিঠার পসরা সাজিয়ে খদ্দেরকে আকৃষ্ট করছে। রেস্টুরেন্টভেদে মিলছে ভাপা পিঠা, খেজুর রসের পিঠা, শাহি ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, রসের পিঠা, ডিম চিতই, সিদ্ধ কুলি পিঠা, ভাজা কুলি পিঠা, ঝাল কুলি, ছানার পুলি, নারিকেলের পিঠা, তিলের পিঠা , ক্ষীরে ভরা পাটি সাপটা, চিংড়ি মাছের নোনতা পাটিসাপটা পিঠাসহ নানা পিঠা।
শায়েস্তাগঞ্জ বাজারের পিঠা বিক্রেতা আশিক মিয়া জানান, শীতের পিঠা অনেক ভালো চলে। ভাপা ০৫ টাকা, চিতই ২ পিস ১০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। যুবক-যুবতী-মুরব্বি সব বয়সের লোকই আসেন তার দোকানে পিঠা খেতে। অনেকে বাসায় নিয়ে যান।

পিঠা কিনতে আসা আব্দুর রহিম সবুজ বলেন, আমি প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর এই দোকান থেকে পিঠা খাই। শীত কালের খাবার মধ্যে পিঠা অন্যতম। আগে যদিও বাড়িতে এসব পিঠা বানানোর হিড়িক পড়তো এখন তা আর দেখা যায় না।
সারিবদ্ধ বসে পিঠা খাচ্ছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি শেখ মাহফুজ বলেন, আমি আর আমাদের কলেজ জীবনের কিছু ছোট ভাইদেরকে নিয়ে আজ সন্ধ্যায় পিঠা আড্ডায় মিলেছি।
গ্রামের মানুষ নবান্নের আনন্দে যেভাবে শীতকে বরণ করে নিচ্ছে – হোক তা ঘরে কিংবা বাইরে, বাহারি পিঠার স্বাদে শীতকে বরণ করে নিচ্ছে এখন। শীতের মৌসুমি পিঠার স্বাদ এখন চাইলেই পাওয়া যায় জীবনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Daily Amar Praner Habiganj
Theme Customized By Shakil IT Park