গত ০৩/০৫/২২ ইং তারিখ রাত্র ১০.৩০ ঘটিকার সময় চুনারুঘাট থানাধীন পাঁচগাতিয়া গ্রামের আঃ হক এর ছেলে ভিকটিম শামীম মিয়া (২১) মিরাশি বাজারে থাকা ওয়ার্কসপের বাতি বন্ধ করার কথা বলে বাড়ি হতে বাহির হয়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় শামীম মিয়ার পিতা আঃ হক সহ আত্মীয় স্বজনরা খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরদিন ০৪/০৫/২২ইং তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় পাঁচগাতিয়া গ্রামের জনৈক আছকির মিয়ার চারা বাগানে গুরুতর জখম অবস্থায় ভিকটিম শামীম মিয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল, হবিগঞ্জে প্রেরন করেন। মৃতের পিতা আঃ হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখা হবিগঞ্জে ন্যস্ত করা হয়। মামলার তদন্তকালে হত্যার রহস্য নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলেও দীর্ঘ তদন্তের পর অত্র জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি এর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের সমন্বয়ে ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মোঃ আঃ রহমান @ আদই(৪৮), পিতা- মৃত আব্দুল জব্বার, সাং- বাড়ইউড়া, থানা- চুনারুঘাট, জেলা- হবিগঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামী ঘটনায় জড়িত মর্মে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। দীর্ঘদিন পর ক্লু-লেস হত্যা মামলার ধূম্রজাল থেকে রহস্য উদঘাটন করায় এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্থি বিরাজ করছে বলে জানা যায়। জেলা পুলিশ হবিগঞ্জ সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল।
Leave a Reply